Samantabad er Mukhomukhi: Bankim, Rabindranath, Sharatchandra
সামন্তবাদের মুখোমুখি: বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক আলোচনার বিষয়, যেখানে বাঙালি সাহিত্যিকদের—বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনাবলি ও চিন্তাধারা নিয়ে আলোচনা করা হয়, যারা নিজের সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে সামন্তবাদী বা জমিদারি সমাজের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যকে বিশ্লেষণ করেছেন। এদের লেখায়, সামন্তবাদ বা জমিদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর এবং সামাজিক অবস্থা বদলানোর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
অভিশাপ
অভিশাপ একটি বাংলা শব্দ, যার অর্থ হলো "শাপ" বা "অভিশাপ" দেয়া, যা মানুষের প্রতি কোনো ধরনের শাস্তি বা অপমানের নির্দেশ দেয়। এটি মূলত একটি ধার্মিক বা অশুভ ধারণা, যেখানে কেউ কোনো ব্যক্তিকে বা তার জীবনের কোনো অংশকে অভিশাপ দেয়। অভিশাপ সাধারণত কোনো অপরাধ, পাপ বা অবিচারের কারণে দেয়া হয়, এবং এতে বিশ্বাস করা হয় যে, শাপের ফলে ব্যক্তি বা তার পরিবারে বিপদ, দুর্ভাগ্য বা দুঃখ আসবে।
আনিসুজ্জামান
আমার রাজনীতির রূপরেখা
"আমার রাজনীতির রূপরেখা" (Amar Rajniti'r Ruprekha) একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রবন্ধ, যা বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও মতাদর্শ প্রকাশ করতে লিখেছিলেন। এটি ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র ও রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন দিশা প্রদর্শন করে। এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান তার নতুন রাজনীতির ধারণা এবং জাতীয় পুনর্গঠন সম্পর্কিত চিন্তাভাবনা জনগণের সামনে তুলে ধরেন।
ইকবালনামা-ই জাহাঙ্গীরী
ইকবালনামা-ই জাহাঙ্গীরী একটি ঐতিহাসিক এবং সাহিত্যিক গ্রন্থ যা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এর জীবন ও শাসনকাল নিয়ে রচিত। এই বইটি মূলত জাহাঙ্গীরের স্বাক্ষরিত আভ্যন্তরীণ চিঠিপত্র, নথিপত্র এবং তার শাসনকালের প্রতিফলন। তবে, ইকবালনামা একটি বিশেষ ধরনের গ্রন্থ যা সর্গীয় প্রজ্ঞা এবং আধ্যাত্মিক উদ্ভাবনের পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। এটি মুঘল যুগের শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গি, রাজনৈতিক অবস্থা, ধর্মীয় বিশ্বাস, এবং ব্যক্তিগত মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলোর একটি গভীর অনুসন্ধান।
ইকবালনামা-ই জাহাঙ্গীরী
ইকবালনামা-ই জাহাঙ্গীরী একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ যা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর (১৫৬৯-১৬২৭) এর জীবন, শাসনকাল এবং তার রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রচিত। এই বইটি মূলত জাহাঙ্গীরের নিজস্ব লেখা রোজনামচা (দৈনিক ডায়েরি) এবং তার রাজত্বকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথির সংকলন। ইকবালনামা শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল "অভীষ্ট গ্রন্থ" বা "ভাগ্যবিধান", যেখানে জাহাঙ্গীর তার জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা, অভিজ্ঞতা, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনীতির ওপর তার মতামত প্রকাশ করেছেন।
ইসলাম ও মুহম্মদ (সা.)
ইসলাম হলো বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলির মধ্যে একটি, যা প্রায় ১.৮ বিলিয়ন মানুষের জীবনধারা, বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে। ইসলামের মূল ভিত্তি হলো একেশ্বরবাদী বিশ্বাস, অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে প্রেরিত আল্লাহর বাণী গ্রহণ করা।
ইসলামের পরিভাষায়, "ইসলাম" শব্দটি "শান্তি", "নির্ভীকতা", "আত্মসমর্পণ" বা "আল্লাহর প্রতি আনুগত্য" বোঝায়। ইসলামে একজন মুসলিম আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে, এবং তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে চায়।
উদ্যোক্তাকে হ্যাঁ বলুন
উদ্যোক্তাকে হ্যাঁ বলুন একটি শক্তিশালী এবং অনুপ্রেরণামূলক বাংলা উপন্যাস, যা লেখক ফরহাদ মজহার রচনা করেছেন। এই বইটি উদ্যোক্তা মনোভাব এবং ব্যবসায়িক জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের উপর গভীর বিশ্লেষণ করে। এটি ব্যক্তিগত জীবনের উদ্যম ও সফলতার প্রতি একটি আবেদন জানায় এবং সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য উদ্যোগী হতে উদ্বুদ্ধ করে।
ওঙ্কার
“ওঙ্কার” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
আহমদ ছফা সাহিত্যচর্চা শুরু করেন উপন্যাস দিয়ে। বেশ কয়েকটা ছােটো গল্প লিখে হাত মসকো করার প্রচলিত নিয়মটি তিনি মানেননি; তাঁর প্রকাশিত প্রথম বইটিও একটি উপন্যাস। ছফার উপন্যাস আকারে ছোট হলেও কোনােটাই কিন্তু ছােটো গল্পের সম্প্রসারণ নয়, এগুলাে একেবারেই উপন্যাস। চেনাজানা জীবনের ভেতরের ব্যাপারটা নানা দিক থেকে দেখার দায়িত্ব নিয়ে সমাজ ও রাজনীতির ভাঙাচোরায় কাজ করছে কোন রহস্য, তারই অনুসন্ধানে ছফা নিয়ােজিত। সুখ ও স্বস্তি ঞ্জলি দিয়ে তিনি কাজ করেন এমন সব পরিবেশ নিয়ে যা বেশির ভাগ সময়ে তার স্বভাবের অনুকূল নয়। পাঠককে তিনি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন যাদের সঙ্গে। বেশির ভাগ সময়েই তিনি নিজে বা তার পাঠকরা। তাদের পছন্দ করেন না; অন্তত তাদের অনেক কাণ্ডকীর্তিতে সায় দেওয়া মুশকিল। সেই খুচরােখাচরা ও টুটাফাটা মানুষের একেকটা আস্ত চেহারা তৈরি। করতে ছফাকে রীতিমতাে যুদ্ধ করতে হয় এবং পাঠককে তিনি উস্কে দেন এ যুদ্ধে নেমে পড়তে । “ওঙ্কার’-এ আহমদ ছফা গপ্পো ফাঁদতে বসেননি, কাহিনীর সূত্র ধরে পাঠককে তিনি টেনে নেন এমন একটি জায়গায় যেখানে পৌছে গল্পটা ভুলে গেলেও কিছু এসে যায় না, কাহিনী গৌণ হয়ে সেখানে প্রবল। হয়ে ওঠে অনেক দিনের অনেক মানুষের গ্লানি, জড়তা ও শােষণ এবং গ্লানি থেকে মুক্তির রক্তাক্ত সংকল্প।