‘কালকেতু উপাখ্যান’
মধ্যযুগে ষোড়শ শতাব্দীর (১৫৪০? ১৬০০?) কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর মতো এতবড় বাস্তবধর্মী জীবনবাদী কবি আর কেউ জন্মগ্রহণ করেন নি মঙ্গলকাব্যের দেবনির্ভর গতানুগতিক বিষয়বস্তুর ভেতর দিয়ে পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর বাংলাদেশ ও নাম গোত্রহীন সাধারণ বাঙালিদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের যে পরিচয় তিনি তুলে ধরেছেন, সমগ্র মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে তার দৃষ্টান্ত বিরল। এ কারণে মুখ্যতঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর প্রতিভার সঙ্গে এবং গৌণতঃ মঙ্গল কাব্যের সঙ্গে আমাদের ছাত্রদের পরিচিত করার জন্যে তাঁর চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের ‘কালকেতু’ অংশটি আমাদের অনার্সের পাঠ্য- তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণে বাংলাদেশে এসব কাব্য এখন দুষ্প্রাপ্য । আমাদের ছাত্রদের পাঠ্য তালিকাভুক্ত এসব বইয়ের অভাব পূরণ উদ্দেশ্যে কবিকঙ্কণের চণ্ডী মঙ্গলকাব্যের ‘কালকেতু উপাখ্যান’ অংশটি সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হল ।
কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর ‘চন্ডীমঙ্গল’ মধ্যযুগের একখানি সুবৃহৎ ও সবিশেষ উল্লেখযোগ্য কাব্য। সেই সুবৃহৎ ‘চন্ডীমঙ্গল’ প্রধানতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে (১) দেবখণ্ড (২) আক্ষেটিক খণ্ড (৩) বণিক খন্ড। দেবখণ্ড স্বর্গলোকের কাহিনী, কিন্তু বাকি দু’খণ্ডের কাহিনী মর্তলোকের। আক্ষেটিক খণ্ড হচ্ছে কালকেতু-ফুল্লরা উপাখ্যান এবং বণিক খণ্ডের কাহিনী ধনপতি-খুল্লনাকে নিয়ে।
Reviews
There are no reviews yet.